নতুন করে সেজেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। মানুষের পদচিহ্ন নেই। উন্মুক্ত সৈকতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষুদে লাল কাঁকড়ার দল। ডিম পাড়তে আসছে নানা প্রজাতির কচ্ছপ। কেঁচোর আলপনা দেখা যাচ্ছে প্রতি কদমে কদমে, বাসা বেঁধেছে গাঙ কবুতরের দল। আর ডলফিনের উচ্ছল নৃত্যে আন্দোলিত সাগরের কথা তো সবারই জানা। এবার বিপন্নপ্রায় কালিম পাখিকে সৈকতে ডিম পাড়তে দেখা গেল।
মানুষের পদচারণা বন্ধ হওয়ার সুযোগে প্রায় দুই দশক পর কক্সবাজার সৈকতের বিশাল এলাকাজুড়ে ফিরে এসেছে ‘সাগরলতা’। সেখানেই কালিম পাখিদের ডিম পাড়তে দেখা গেছে।পাখিগুলো মূলত উন্মুক্ত থাকতে পছন্দ করে। নিজ পছন্দ মতো জায়গায় বাসা তৈরি করে তারা।
কালিম পাখি হল জলাভূমির পাখি। তবে এরা জল-ডাঙা উভয় স্থানে বিচরণ করে। ৫০ বছর আগেও দেশের বিল-হাওর, সৈকত ও জলাভূমিতে বেগুনি কালিম পাখির দেখা মিলত। অবাধ শিকার, চারণ ভূমির দূষণ আর দখলে এখন এরা বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
কালিম খুবই সামাজিক পাখি, দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। এরা খাবার হিসেবে ধান, গম, চাল, ঘাস, মাছ, শামুক ইত্যাদি খেলেও কচুরিপানা এদের প্রিয় খাদ্য। বছরে ৭ থেকে ১০টি ডিম দেয় এবং প্রাকৃতিকভাবেই বাচ্চা উৎপাদন করে কালিম পাখি।
পাঠকের মতামত